Posts

ঝগড়া

Image
একটা দিন চল‌্ ঝগড়া করি ভালোবাসা তো রোজই করি আজকে নাহয় ঝগড়া করি? গাল ফুলিয়ে নাক উচিয়ে চোখ রাঙিয়ে মুখ বাকিয়ে চল্ আজকে ঝগড়া করি। তুই তোকারি একটু গালি নতুন পূরণ দোষ টা খুঁজে চোখ টা বুজে, ঘাড় টা গুজে কান ফাটিয়ে ঝগড়া করি। কবে কোথায় কি করেছিস কই গিয়েছিস, কি দিয়েছিস, ভালোবাসায় কি কমতি ছিল কোন কাজ টা বাড়তি ছিল চল্ হিসেব কষে ঝগড়া করি।‌ ভালোবাসা তো রোজই করি আয় না আজকে ঝগড়া করি। [ভালবাসা দিবস থাকলেও ঝগড়া দিবস নাই এইধরনের চিন্তা হইতে নির্গত কাব্য প্রচেষ্টা] February 14, 2016

যখন আমি অ্যডিক্টেড ছিলাম!

Image
নেশাটা ঠিক কিভাবে কবে থেকে শুরু মনে নেই। কিন্তু আমরা যারা নব্বইএর দশকে বড় হয়েছি গল্পের বই ছিল আমাদের বিনোদন এর অন্যতম মাধ্যম। বিশেষ করে মফস্বল শহরে যারা বড় হয়েছি তাদের জন্য তো বটেই। তখন টিভি বলতে বিটিভি, আর কম্পিউটার মোবাইল ইন্টারনেট তো ভবিষৎ এর জিনিষ। যতদুর মনে পড়ে একেবারে ছোট বেলায় রুশদেশের উপকথা নামে আমার একটা বই ছিল। যত দিন পড়া শিখি নাই আম্মুর কাছে শুনে শুনেই গল্প গুলো সব মুখস্ত ছিল। বেশ অনেক গুলো গল্প ছিল তাতে রাশিয়ান লেখকদের। এখন আর রাশিয়ার বই এদিকে মনেহয় না আসে। যাই হোক পড়া শেখার পর আরো কত বার যে বইটা পড়েছি হিসাব নেই। এত প্রিয় ছিল বইটা। রাশিয়ান পাবলিকশেন বলেই কিনা বইটা এত ভাল ছিল বাইন্ডিংস আার পেজ গুলো কত বছরেও একটুও নষ্ট হয়নি। এর পর আমর এক স্কুল টিচার বইটি নিয়ে যতসম্ভব সেও হরায় ফেলে। সেটা ক্লাস ওয়ান টু এর ঘটনা হবে। অনেক দু:খ পাইছিলাম বইটা হারায়। পরে অনেক খুজেছি কোথাও পাওয়া যায় না কিনতে। ক্লাস ওয়ান কি টু তে থাকতে একবার স্কুল থেকে কোন বার্ষিক প্রতিযোগিতা কিংবা রেজাল্টের জন্য বেশ কিছু বই পুরষ্কার পাই। সেই থেকে যত সম্ভব শুরু। যাইহোক এর পর কোন ছোটদের পড়ার মত বই পেলেই সেটা পড়ে ফেলাটা...

ফেসবুক পরিচিতি

Image
 একদা দেখিনু এক ছোট্ট বালিকা, হাতে লয়ে মুঠোফোন করিছে কি খেলা। ডাকিয়া জিগ্গাসিনু, ওহে খুকি করিতেছ কি? তড়িত জবাব এল আমি নই খুকি! মুখ তুলে তাকাইল সে এমনি ভঙ্গিতে  করিয়াছি অন্যায় কোন, কিছুই না বুঝে। কহিল  উষ্মাভরে, জানো না যখন কেহ ফেসবুকে থাকে  উকি ঝুকি দেওয়া মানা সঠিক আদবে? দু:খিত হওয়া ছাড়া কিবা ছিল গতি? মুর্খ মানব আমি বুঝিনি প্রাইভেসি। কে জানিত এ যুগের গতি ও প্রকৃতি খোকা খুকু নেই আর, আছে যে ফেসবুক পরিচিতি। [ একটি সত্যঘটনা অবলম্বনে কবিগুরু প্রভাবিত কাব্য প্রচেষ্টা ] November 7, 2014

ওমানের দিন গুলো

Image
September 15, 2013 কামলা পারমিট করতে দিলাম ... 2 দিন পর আমি অফিসিয়াল বাংলাদেশি কামলা। যাউকগা, কাহিনি হইলা... ইমিগ্রেশনে জিগাইল বিদেশ যাবা করবাডা কি?  আমি কইলাম অফিসের কামে।  কয় মানে কামলা দিবার? পার্মিট আছে? আমি কই কিয়ের পার্মিট? আমি তো জব করি এইখানে, এক সফ্টওয়ার ফার্মে আছি।  তা করা হয় কি?  প্রোগ্রামার। ও তারমানে তো কামলাই। পার্মিট লাগবই নাইলে নট যাওয়া যাওই। কামলা পার্মিট ছাড়া বিদেশে কামলা পইজলামো?  দেন কি আর করা আইজ চরকির মত এ অফিস সে অফিস ঘুইরা অফিসিায়াল কামলা পারমিটের এপ্লাই কইরা আসলাম ... 😕 September 23, 2013 আজকে ৫ম দিন মাস্কট এ। মানুষ চাইলেই কত কিছুই পারে না? একা একা চলে আসলাম। পারছিও থাকতে প্রবলেম তো হচ্ছে না। শুধু কাছের মানুষগুলারে দেখতে পারিনা এই যা। একটু একা লাগে করার তো কিছু নাই। যাইহোক মাস্কট শহর টা একটু কেমন যেন। যেদিকে তাকানো যায় ধুসর বাদামি পাহাড়। এর মধ্যে দিয়েই উচুনিচু রাস্তা। গাছপালা নেই বল্লেই চলে। রাস্তাগুলো সুন্দর পরিষ্কার একটু ধুলা নেই। রাস্তার পাশ দিয়ে সবুজ ঘাস, সেইপ করা গাছ। তবে একটু বেশি আর্টিফিসিয়াল লাগে। বাড়ি গুলো সুন্দর ছিম ছাম। সব সা...

টাইম মেশিন (গল্প - সায়েন্সফিকশন)

Image
২১০০ সাল তখন সবাই অনেক এডভান্সড টেকনোলজিকালি। তো হলো কি হঠাত একদিন এক বিজ্ঞানি একটা ওয়ারমহোল* বানায় ফেলল। একটা না আসলে দুইটা, বেশ বড় সাইজের যার মধ্যেদিয়ে একজন ঢুকে অন্য ওয়ার্মহোল দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। তার মানে দুইটা ওয়ার্মহোল ১ মাইল দুরে রাখলেও একটাদিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বের হতে ১ সেকেন্ড লাগবে। তো সে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে ডাকল জিনিষ টা দেখাতে। বন্ধুকে বলল, দোস্ত দোস্ত দেখ কি বানাইছি আমি। আস্ত একটা ওয়ার্মহোল! তার দোস্ত বলল, আরে চরম জিনিষ তো দোস্ত। একটা আমারে দিবা? তাইলে আমার বাসায় একটা রাখব আর কষ্ট কইরা তোমার বাসায় জ্যাম ঠেলে আসা লাগব না। একদিক দিয়া ঢুকব আর তুমার বাসাই আইসা পরব।   তকখন বিজ্ঞানী বলল, অকে তুমি চাইছ যখন না তো আর পারিনা করতে। তো তার বন্ধু একটা ওয়ার্মহোল নিয়ে তার গাড়িতে উঠল। গাড়িতে উঠতেই গাড়ি করল ব্রেক করল ফেল। ভবিস্যতের গাড়ি বলে কথা। স্পিড এক লাফে উঠে গেল প্রায় আলোর গতির ১ লক্ষ ৮০ হাজার মাইলে। ভাগ্যিস তখনকার গাড়ি রাস্তায় না চলে উপর দিয়ে উড়ত। তাই এক্সিডেনট ছাড়াই সে পৃথিবীর বাইরে গেল চলে। তারপর অনেক কষ্টেমষ্টে গাড়ি সে নিজেই মেনুয়াল দেখে ঠিক ঠাক করে আবার ফিরে আসল পৃথিবীত...

স্বপ্নবতা

Image
বাস্তবতার উল্টা কি স্বপ্নবতা? জাগার বিপরিত ঘুম, তাই যদি হয় বাস্তবের বিপরিত তো স্বপ্ন হতেই পারে। আচ্ছা আমি কি এখন স্বপ্ন দেখছি না যেগে আছি। কিভাবে বুঝব? স্বপ্ন নাকি রংহীন কে বলছে এই কথা? এইতো আমি সবুজ ঘাস দেখতে পাচ্ছি। আচ্ছা ঘাস আসলো কোথা থেকে? আমি কোথায় এখন? হুম এইটা একটা মাঠ। সেতো দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু এখানে কেন আমি? আরে ধুর স্বপ্নের কোন আগা মাথা থাকে নাকি? এখন মাঠে আছো একটু পরে দেখবা ছাদে এই তো স্বপ্ন। কিন্তু আমি যে স্বপ্নই দেখছি কে বলল? হুম প্রমান করা যায়। কিভাবে? চিমটি কেটে? আরে নাহ ওইসব ভুয়া স্বপ্নে চিমটি কাটলে কারো ঘুম ভাঙেনা। তাহলে? খুব সহজ এইযে তুমি আমার সাথে কথা বলছ, আসলে তুমি তো আমিই আবার আমিই তুমি, কিন্তু কত সুন্দর কথা বলছ, বাস্তব হলে কি পারতে? কেন পারতাম না? নাহ। বাস্তবে তোমার স্বত্বা এক। কিন্তু পরাবাস্তবে তুমি অনেক। অনেক স্বত্বা। অনেক? কই আমি তো সুধু তোমার সাথেই কথা বলছি। আর কই? এইতো আমরা। তোমরা? তোমরা কারা? আমরাই তুমি। তুমিই আমরা। আচ্ছা আমি পাগল হয়েগেছি না তো? দুনিয়ার কেউ পাগল না। তাহলে পাগল কারা? যারা বাস্তবতা থেকে স্বপ্নবতায় চলে যায় তাদেরই তোমরা নাম দিয়েছ পাগল। তাদের কা...

ফর্সা নাকি কালো? কিভাবে কেন?

Image
এই এড টা দেখে মাথায় আসলো আসলেই তো বাচ্চা ফর্সা হবে না কালো এইটা কার গায়ের রং এর উপর ডিপেন্ড করে? বাবার নাকি মায়ের? যেহেতু গায়ের র: জেনেটিক ব্যাপার অবস্যই বাবা মায়ের রংএর উপর নির্ভর করবে। তাই একটু নেট ঘাটলাম (আমার আবার কিছু হইলেই নেট ঘাটার অভ্যাস)। ঘেটে যেইটা জানলাম খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। যেটা আগে জানতাম না। আমার ধারনা অনেকেই আমার মত বিষয় টা জানে না। না হলে এত বড় কোম্পানি বিলবোর্ড জুড়ে এই বিজ্ঞাপন দিত না।  আমরা মোটামুটি সবাই জানি (যারা এসএসসি তে বায়লজি ছিল অন্তত) আমাদের প্রতিটা কোষের নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে ডিএনএ (DNA)। এই ডিএনএ এর মধ্যেই আমাদের ডিজাইন এর কোড টা লেখা থাকে (মানুষের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৬০কোটি)। একটা DNA মোটামুটি ৬ফিট লম্বা হয় নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্যাচায়গুচায় থাকে (হেডফোনের তারের মত)। এই DNA আবার ৪৬টা ভাগে ভাগ করা থাকে। প্রতিটা কে বলে ক্রোমজম। এর ২৩টা হল বাবার আর ২৩ টা হল মায়ের। এই পর্যন্ত আমরা সবাই জানি। এখন এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যো মাত্র এক জোড়া মানে ২টা ক্রোমজম আছে যাদের কারহনে আমরা ছেলে অথবা মেয়ে। বাকি গুলা অন্যান্য কাজে যেমন চোখ কান নাক হাত পা হাড্ডিগুড্...