টাইম মেশিন (গল্প - সায়েন্সফিকশন)


২১০০ সাল তখন সবাই অনেক এডভান্সড টেকনোলজিকালি। তো হলো কি হঠাত একদিন এক বিজ্ঞানি একটা ওয়ারমহোল* বানায় ফেলল। একটা না আসলে দুইটা, বেশ বড় সাইজের যার মধ্যেদিয়ে একজন ঢুকে অন্য ওয়ার্মহোল দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। তার মানে দুইটা ওয়ার্মহোল ১ মাইল দুরে রাখলেও একটাদিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বের হতে ১ সেকেন্ড লাগবে। তো সে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে ডাকল জিনিষ টা দেখাতে।
বন্ধুকে বলল, দোস্ত দোস্ত দেখ কি বানাইছি আমি। আস্ত একটা ওয়ার্মহোল!

তার দোস্ত বলল, আরে চরম জিনিষ তো দোস্ত। একটা আমারে দিবা? তাইলে আমার বাসায় একটা রাখব আর কষ্ট কইরা তোমার বাসায় জ্যাম ঠেলে আসা লাগব না। একদিক দিয়া ঢুকব আর তুমার বাসাই আইসা পরব।
 
তকখন বিজ্ঞানী বলল, অকে তুমি চাইছ যখন না তো আর পারিনা করতে। তো তার বন্ধু একটা ওয়ার্মহোল নিয়ে তার গাড়িতে উঠল। গাড়িতে উঠতেই গাড়ি করল ব্রেক করল ফেল। ভবিস্যতের গাড়ি বলে কথা। স্পিড এক লাফে উঠে গেল প্রায় আলোর গতির ১ লক্ষ ৮০ হাজার মাইলে। ভাগ্যিস তখনকার গাড়ি রাস্তায় না চলে উপর দিয়ে উড়ত। তাই এক্সিডেনট ছাড়াই সে পৃথিবীর বাইরে গেল চলে। তারপর অনেক কষ্টেমষ্টে গাড়ি সে নিজেই মেনুয়াল দেখে ঠিক ঠাক করে আবার ফিরে আসল পৃথিবীতে, সপ্তাখানিক পরে। এসে তো দেখে পৃথিবী পুরা চেন্জ। ব্যাপার কি কিছুই তো তার মাথায় ঢুকল না। সে গেল তার বিজ্ঞানি বন্ধুর কাছে যে, ওকে জিগেস করলে বলতে পারবে বিষয় টা কি। বিজ্ঞানি মানুষ তো।


বন্ধুর বাসায় জযেয়ে তো পুরা টস্কি, মানে অবাক আর কি। হায় হায় বন্ধুর একি হাল। এক সপ্তায় বুইড়া হয়া গেছে তার দোস্ত। নিশ্চয় কয় রাত না ঘুমায় কাজ করছে। পোলাডাই আর মানুষ হইল না।

দোস্তকে দেখতেই দোস্ত বলে ছুটে এসে জিগাইল বিজ্ঞানী, দোস্ত তুমি কই ছিলা এত দিন?!

আর কইও না দোস্ত হইসিল কি শোন, তুমার বাসা থেকে তো তুমার ওয়ার্মহোল নিয়া বাইর হইলাম তারপর … (সব খুলে বলল)

কও কি দোস্ত। তারমানে তুমি তো টাইম ট্রাভেল কইরা ভবিস্যতে আইসা পড়ছ। এখন এইডা ২১৩৩ সাল।
এ্যা … ক্যাম্নে?!!

ওইযে তুমার গাড়ির ব্রেক ফেইল কইরা গাড়ির গতি প্রায় আলোর গতি উইঠা গিছল তখন তোমার সময় গেছে স্লো হয়ে*। যার ফলে তোমার ১ সপ্তায় পৃথিবীতে ৩৩ বছর কাইটা গেছে।

সত্যি? কি কও?? আমি এখন কি করুম? আমার ৩৩ বছর ফিরায়া দেও। কাঁদতে কাঁদতে বলল বন্ধু।

আরে আরে কাইন্দোনা। দাড়াও দেখি কি করা যয়। আচ্ছা ওইয়ে তুমি সেই ওয়ার্মহোলডা নিছলা কই সেইডা?

ওইতো আমার গাড়ির মইধ্যে।

চল তো দেখি।

তারপর বন্ধু আর বিজ্ঞানী মিলে সেই ওয়ার্মহোল টা গাড়ি থেকে নামিয়ে আনলো।

দাড়াও অন করি, বলে বিজ্ঞানি বন্ধু মেশিন অন করল, এখন আল্লা আল্লা কর যেন ৩০ বছর আগে আমি এই টাইমে মেশিন অন কইরা রাখি।

মানে কি কও কিছু বুঝি না। কি করব এখন?

কিছু না ঢুইকা পড় এর মধ্যে। দেখা যাক কি হয়।

সে ঢুকে পড়ে মেশিনে। সাথে সাথে অন্যপাশ থেকে বেরিয়ে দেখে তার বন্ধু দাড়িয়ে আছে সে আর বুড়া না।

তাকে দেখেই বিজ্ঞানি বন্ধুটা জরিয়ে ধরে বলে আমি জান্তাম তুমি এইদিক দিয়েই ফিরে আসবা।

সে বলল দোস্ত থ্যাংকু আমার জিবনের ৩৩ টা বছর বাচাইলা।

তাই নাকি? তারমানে তুমি ৩৩ বছর ভবিস্যত থেকে আসলা?

হ আর কইয় না দোস্ত হইসিল কি শোন তুমার বাসা থেকে তো তুমার ওয়ার্মহোল নিয়া বাইর হইলাম তারপর … (সব খুলে বলল ৩৩ বছরের কাহিনি সহ)

তারমানে থ্যাংকু তো তোমাকে। তোমার কারনে আমি পৃথিবীর প্রথম টাইম মেশিন বানাই ফেলছি। এখন এর মধ্যেদিয়ে যে কেউ ৩৩ বছর ভবিস্যতে চলে যেতে পারবে। আর ভবিস্যত থেকে এই সময়ে চলেও আসতে পারবে।

মাইরালা। তুমি যাও আমি নাই এইসবের ভিতরে । বলে সে হাটা ধরল। কারন সে ডিসিশন নিছে আর গাড়িতেও উঠবেনা জিবনে।

Dhaka, May 27, 2014

Comments

Popular posts from this blog

সুর গহীনে

স্বপ্নবতা

ফেসবুক পরিচিতি