Posts

টাইম মেশিন (গল্প - সায়েন্সফিকশন)

Image
২১০০ সাল তখন সবাই অনেক এডভান্সড টেকনোলজিকালি। তো হলো কি হঠাত একদিন এক বিজ্ঞানি একটা ওয়ারমহোল* বানায় ফেলল। একটা না আসলে দুইটা, বেশ বড় সাইজের যার মধ্যেদিয়ে একজন ঢুকে অন্য ওয়ার্মহোল দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। তার মানে দুইটা ওয়ার্মহোল ১ মাইল দুরে রাখলেও একটাদিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বের হতে ১ সেকেন্ড লাগবে। তো সে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে ডাকল জিনিষ টা দেখাতে। বন্ধুকে বলল, দোস্ত দোস্ত দেখ কি বানাইছি আমি। আস্ত একটা ওয়ার্মহোল! তার দোস্ত বলল, আরে চরম জিনিষ তো দোস্ত। একটা আমারে দিবা? তাইলে আমার বাসায় একটা রাখব আর কষ্ট কইরা তোমার বাসায় জ্যাম ঠেলে আসা লাগব না। একদিক দিয়া ঢুকব আর তুমার বাসাই আইসা পরব।   তকখন বিজ্ঞানী বলল, অকে তুমি চাইছ যখন না তো আর পারিনা করতে। তো তার বন্ধু একটা ওয়ার্মহোল নিয়ে তার গাড়িতে উঠল। গাড়িতে উঠতেই গাড়ি করল ব্রেক করল ফেল। ভবিস্যতের গাড়ি বলে কথা। স্পিড এক লাফে উঠে গেল প্রায় আলোর গতির ১ লক্ষ ৮০ হাজার মাইলে। ভাগ্যিস তখনকার গাড়ি রাস্তায় না চলে উপর দিয়ে উড়ত। তাই এক্সিডেনট ছাড়াই সে পৃথিবীর বাইরে গেল চলে। তারপর অনেক কষ্টেমষ্টে গাড়ি সে নিজেই মেনুয়াল দেখে ঠিক ঠাক করে আবার ফিরে আসল পৃথিবীত...

স্বপ্নবতা

Image
বাস্তবতার উল্টা কি স্বপ্নবতা? জাগার বিপরিত ঘুম, তাই যদি হয় বাস্তবের বিপরিত তো স্বপ্ন হতেই পারে। আচ্ছা আমি কি এখন স্বপ্ন দেখছি না যেগে আছি। কিভাবে বুঝব? স্বপ্ন নাকি রংহীন কে বলছে এই কথা? এইতো আমি সবুজ ঘাস দেখতে পাচ্ছি। আচ্ছা ঘাস আসলো কোথা থেকে? আমি কোথায় এখন? হুম এইটা একটা মাঠ। সেতো দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু এখানে কেন আমি? আরে ধুর স্বপ্নের কোন আগা মাথা থাকে নাকি? এখন মাঠে আছো একটু পরে দেখবা ছাদে এই তো স্বপ্ন। কিন্তু আমি যে স্বপ্নই দেখছি কে বলল? হুম প্রমান করা যায়। কিভাবে? চিমটি কেটে? আরে নাহ ওইসব ভুয়া স্বপ্নে চিমটি কাটলে কারো ঘুম ভাঙেনা। তাহলে? খুব সহজ এইযে তুমি আমার সাথে কথা বলছ, আসলে তুমি তো আমিই আবার আমিই তুমি, কিন্তু কত সুন্দর কথা বলছ, বাস্তব হলে কি পারতে? কেন পারতাম না? নাহ। বাস্তবে তোমার স্বত্বা এক। কিন্তু পরাবাস্তবে তুমি অনেক। অনেক স্বত্বা। অনেক? কই আমি তো সুধু তোমার সাথেই কথা বলছি। আর কই? এইতো আমরা। তোমরা? তোমরা কারা? আমরাই তুমি। তুমিই আমরা। আচ্ছা আমি পাগল হয়েগেছি না তো? দুনিয়ার কেউ পাগল না। তাহলে পাগল কারা? যারা বাস্তবতা থেকে স্বপ্নবতায় চলে যায় তাদেরই তোমরা নাম দিয়েছ পাগল। তাদের কা...

ফর্সা নাকি কালো? কিভাবে কেন?

Image
এই এড টা দেখে মাথায় আসলো আসলেই তো বাচ্চা ফর্সা হবে না কালো এইটা কার গায়ের রং এর উপর ডিপেন্ড করে? বাবার নাকি মায়ের? যেহেতু গায়ের র: জেনেটিক ব্যাপার অবস্যই বাবা মায়ের রংএর উপর নির্ভর করবে। তাই একটু নেট ঘাটলাম (আমার আবার কিছু হইলেই নেট ঘাটার অভ্যাস)। ঘেটে যেইটা জানলাম খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। যেটা আগে জানতাম না। আমার ধারনা অনেকেই আমার মত বিষয় টা জানে না। না হলে এত বড় কোম্পানি বিলবোর্ড জুড়ে এই বিজ্ঞাপন দিত না।  আমরা মোটামুটি সবাই জানি (যারা এসএসসি তে বায়লজি ছিল অন্তত) আমাদের প্রতিটা কোষের নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে ডিএনএ (DNA)। এই ডিএনএ এর মধ্যেই আমাদের ডিজাইন এর কোড টা লেখা থাকে (মানুষের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৬০কোটি)। একটা DNA মোটামুটি ৬ফিট লম্বা হয় নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্যাচায়গুচায় থাকে (হেডফোনের তারের মত)। এই DNA আবার ৪৬টা ভাগে ভাগ করা থাকে। প্রতিটা কে বলে ক্রোমজম। এর ২৩টা হল বাবার আর ২৩ টা হল মায়ের। এই পর্যন্ত আমরা সবাই জানি। এখন এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যো মাত্র এক জোড়া মানে ২টা ক্রোমজম আছে যাদের কারহনে আমরা ছেলে অথবা মেয়ে। বাকি গুলা অন্যান্য কাজে যেমন চোখ কান নাক হাত পা হাড্ডিগুড্...

নির্বাচন - ২ ০ ১ ৪

সৃতিচারন - আমি কুষ্টিয়ার ভোটার, ৫ বছর আগে এইদিনে কুষ্টিয়াতেই ছিলাম। মনে আছে সেমিসটার ব্রেকে বাড়ি গেছিলাম গিয়েই ধরা পড়ল জন্ডিস। প্রথম প্রথম ঢাকা গিয়ে সবার যা হয় আরকি। নির্বাচনের এই সময় পুরো কু্ষ্টিয়া শহরে উসবের আমেজ। মোড়ে মোড়ে ক্যম্ম কেউ ধানের শিষ, কেউ নৌকা। কিন্তু কারো সাথে কারো বিরোধ নেই, সবার মুখে হাসি। তখন অবস্য নৌকার জোয়ার। আমার বন্ধুরা, কাজিনরা এক একজন রিতিমত রাজনৈতিক কর্মিতে পরিনত হয়ে গেছে ইতিমদ্ধে। সারদিন ক্যাম্পিং মিছিল মিটিং ... আর আমি হাতে স্যালাইন নিয়ে সারাদিন শুয়ে থাকি খুব মেজাজ খারাপ হত। আমার আম্মু তখন স্কুল শিক্ষিকা, ভোটের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পড়েছিল সেবার আম্মুর। ভোটের দিন আব্বু আম্মুকে নিয়েগেল ভোট কেন্দ্রে। তাই সেদিন দিন আমি খালার বাসায়। শুয়ে ছিলাম এক রুমে হাতে স্যালাইন বাধা। পরিচিতরা ভোট টোট দিয়ে এসে আমাকে দেখে যাচ্ছে। রুমে কাজিন বন্ধুবান্ধব নির্বাচনি মিটিং বলাযায়। সবাই বলাবলি করছে নৌকাই জিতবে। আমি ভাবছি ইস প্রথম ভোট টা কি দিতেই পারব না? একটু পর দেখি আামার আব্বু আাসছে। এসেই জোরে ডাকলো কোই আমার বেটা ভোট দিবে না? আমার মুখে হাসি। উৎপল ভাইয়া (কাজিন ডাক্তার) এসে সুচ ...

বিদায় গনতন্ত্র

বাংলাদেশে নামে মাত্র যে গনতন্ত্র ছিল সেটাও শেষ। গলাটিপে শেষকরার সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত সামনের ৬ তারিখে বলাযায় মোটামুটি ইন্নালিল্লাহ। বর্তমান সরকার এই কাজ টা করার সুযোগ এক দিনে পায়নাই। গত ৫ বছর ধরেই তারা সেই সাহসটা অর্যন করেছে। গনতন্ত্রের সবচেয়ে ইম্পপর্টেন্ট হল একটা শক্তিশালী বিরধীদল বা তাদের শক্তিশালী ভুমিকা। যা বিএনপি গত ৫ বছরে দেখাতে সপ্মূর্ণভাবে ব্যার্থ হয়েছ। সরকারের সিমাহীন দুর্নীতি সেচ্ছাচারিতা বা দেশবিরধী কোন সিদ্ধান্তের বিশয়ে তারা কোন আন্দলন করেনি। দুই একটা বিবৃতি দিয়েই শেষ। তারা এমন সব বিষয়ে আন্দলন করেছে যেখানে জনগনের কোন দাবি ছিল না। ফলে বরাবরি তাদের আন্দলন তাদের নেতাকর্মিদের মাঝেই সিমাবদ্ধ থেকেছে। জনমানুষের আন্দলনে পরিনত হয়নি। সাধারন জনগন যতবার রাস্তায় নেমেছে তারা দুরে বসে হাততালিটাই দিয়েছে কাছে এসে কাধমেলায় নি। তাই দিন দিনই সরকারি দলের সাহস বেড়েছে ক্ষমতা কমেছে বিরধীদলের। অথছ বিএনপি তো এমন কোন ছোট দল ছিল না। আসন সংখ্যা কম হলেও ভোটের সংখ্যা তো প্রায় ৫০% এর কাছাকাছিই ছিল গত নির্বাচনে। তারমানে তাদের সমর্থক তো কম না। অথছ তারা জামাতের পায়ে ভর করে আন্দলনের স্বপ্ন দেখে ফেলল। যেই জামাতে...

প্রোগ্রামারের স্বপ্ন (গল্প)

Image
[প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে তাঁকে উত্সর্গ করে করে একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। গল্প টা মাথায় ছিল কিন্তু লিখতে লিখতে দেরি হয়ে গেল কি আর করা। গল্প টা অবস্যই তার লেখা থেকেই অনুপ্রাণিত...ক্ষুদ্র প্রয়াস।] আমাকে একটা ইন্টার্ন ছেলে দেওয়া হয়েছে। ছেলেটার নাম সফিক। বেশ সার্প একটা ছেলে। প্রোগ্রামিং এর মাথা ভাল। সহযেই একটা প্রবলেম ধরতে পারে। বেশ অবিডিয়েন্টও। কোন কাজ দিলে খুব উৎসাহের সাথে করে দেয়। কন্টেস্ট করত স্টুডেন্ট থাকাকালে। কন্টেস্টএর ছেলে মেয়েগুলো কে এই জন্যই আমার ভালো লাগে। কোডিং এদের কাছে নেশার মত। কাজ মনেই করে না। তাই এরা ভাল ও করে অন্যদের তুলনায়। তবে একটা প্রবলেম আছে তা হল প্রোগরামিং যে শেষ পর্যন্ত একটা প্রোডাক্ট আর প্রোডাক্ট মানেই বিজনেস এইটা বুঝতে এদের অনেক দিন লেগে যায়। যাই হোক, একটা নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছি একটু জটিল বিষয় টা কয়েকটা প্লাটফর্মে এক সাথে। বেশ চ্যালেন্জিং। টিমের সবাই অনেক এক্সাইটেড। সফিক সবচেয়ে বেশি। এটাই ওর প্রথম কোন সত্যিকারের কাজ, হওয়াটাই সাভাবিক। মনে আছে আমিও প্রথম কাজটা নিয়ে কতটা এক্সাইটেড ছিলাম। সেদিন বিকালে একটা প্রবলেম নিয়ে বসে আছি, ভাল যন্ত্রনা দিচ্ছে। ভেব...

কোডিং কাব্য (রম্য )

যদি কেড়ে নিতে বল কোডিংএ ঠাসা পিসি যেন কেড়ে নিতে দিব না যদি ছেড়ে যেতে বল লজিকে ঠাসা জীবন যেন আমি ছাড়তে পারব না আর আমি আমি , জানি জানি এতে সুখ কতখানি সৃষ্টি করে যাই রোজ.....  😊😊😊