বিদায় গনতন্ত্র
বাংলাদেশে নামে মাত্র যে গনতন্ত্র ছিল সেটাও শেষ। গলাটিপে শেষকরার সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত সামনের ৬ তারিখে বলাযায় মোটামুটি ইন্নালিল্লাহ। বর্তমান সরকার এই কাজ টা করার সুযোগ এক দিনে পায়নাই। গত ৫ বছর ধরেই তারা সেই সাহসটা অর্যন করেছে। গনতন্ত্রের সবচেয়ে ইম্পপর্টেন্ট হল একটা শক্তিশালী বিরধীদল বা তাদের শক্তিশালী ভুমিকা। যা বিএনপি গত ৫ বছরে দেখাতে সপ্মূর্ণভাবে ব্যার্থ হয়েছ। সরকারের সিমাহীন দুর্নীতি সেচ্ছাচারিতা বা দেশবিরধী কোন সিদ্ধান্তের বিশয়ে তারা কোন আন্দলন করেনি। দুই একটা বিবৃতি দিয়েই শেষ। তারা এমন সব বিষয়ে আন্দলন করেছে যেখানে জনগনের কোন দাবি ছিল না। ফলে বরাবরি তাদের আন্দলন তাদের নেতাকর্মিদের মাঝেই সিমাবদ্ধ থেকেছে। জনমানুষের আন্দলনে পরিনত হয়নি। সাধারন জনগন যতবার রাস্তায় নেমেছে তারা দুরে বসে হাততালিটাই দিয়েছে কাছে এসে কাধমেলায় নি। তাই দিন দিনই সরকারি দলের সাহস বেড়েছে ক্ষমতা কমেছে বিরধীদলের। অথছ বিএনপি তো এমন কোন ছোট দল ছিল না। আসন সংখ্যা কম হলেও ভোটের সংখ্যা তো প্রায় ৫০% এর কাছাকাছিই ছিল গত নির্বাচনে। তারমানে তাদের সমর্থক তো কম না। অথছ তারা জামাতের পায়ে ভর করে আন্দলনের স্বপ্ন দেখে ফেলল। যেই জামাতের সমর্থক বাংলাদেশে কখনওই ২% এর বেশি ছিলনা। তারা তত্বাবধাকের দাবির মত আন্দলনেও জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারল না। জামাতের জঙ্গি নির্ভর আন্দলন করে বরং আন্দলনটাকে অনেকটা জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিল। তারা মানুষকে বোঝাতেই পারল না তারা আওয়ামিলিগ থেকে বেটার। তারা আসলে জনগনের কি কি উপকার হবে। তাদের দাবি শুধুই তাদের মন মত নির্বাচন কিন্তু তাতে মানুষের কি লাভ সেটা তারা বলল না। ফলে যেই আন্দলন হওয়ার কথা ছিল গনমানুষের আন্দলন তা হয়েগেল জামাত-বিএনপির আন্দলন। কারন মানুষ জানে যেই লাউ সেই কদু। কেন তাদের জন্য আমি তাদের সাথে আন্দলনে যাব? আমার কি লাভ? লাভ তো ওদের। এতদিন এরা খেত এখন ওরা খাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করছে। আমার দরকারের সময় তো এদের খোজ ছিল না। এখন এসে বললেই আমি কেন যাব। মানুষের চিন্তা অনেকটাই এইরকম। যদিও তারাও চায় দেশে নিদেনপক্ষে হলেও একটা গনতন্ত্রের চর্চা চলুক। তাই আর কোন আশা দেখছি না আমি। অন্তত বিএনপি মনেহয় না কিছু করতে পারবে এভাবে যদি মিরাকেল কিছু না ঘটে যায় এর মধ্যে।
Comments
Post a Comment