Posts

নির্বাচন - ২ ০ ১ ৪

সৃতিচারন - আমি কুষ্টিয়ার ভোটার, ৫ বছর আগে এইদিনে কুষ্টিয়াতেই ছিলাম। মনে আছে সেমিসটার ব্রেকে বাড়ি গেছিলাম গিয়েই ধরা পড়ল জন্ডিস। প্রথম প্রথম ঢাকা গিয়ে সবার যা হয় আরকি। নির্বাচনের এই সময় পুরো কু্ষ্টিয়া শহরে উসবের আমেজ। মোড়ে মোড়ে ক্যম্ম কেউ ধানের শিষ, কেউ নৌকা। কিন্তু কারো সাথে কারো বিরোধ নেই, সবার মুখে হাসি। তখন অবস্য নৌকার জোয়ার। আমার বন্ধুরা, কাজিনরা এক একজন রিতিমত রাজনৈতিক কর্মিতে পরিনত হয়ে গেছে ইতিমদ্ধে। সারদিন ক্যাম্পিং মিছিল মিটিং ... আর আমি হাতে স্যালাইন নিয়ে সারাদিন শুয়ে থাকি খুব মেজাজ খারাপ হত। আমার আম্মু তখন স্কুল শিক্ষিকা, ভোটের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পড়েছিল সেবার আম্মুর। ভোটের দিন আব্বু আম্মুকে নিয়েগেল ভোট কেন্দ্রে। তাই সেদিন দিন আমি খালার বাসায়। শুয়ে ছিলাম এক রুমে হাতে স্যালাইন বাধা। পরিচিতরা ভোট টোট দিয়ে এসে আমাকে দেখে যাচ্ছে। রুমে কাজিন বন্ধুবান্ধব নির্বাচনি মিটিং বলাযায়। সবাই বলাবলি করছে নৌকাই জিতবে। আমি ভাবছি ইস প্রথম ভোট টা কি দিতেই পারব না? একটু পর দেখি আামার আব্বু আাসছে। এসেই জোরে ডাকলো কোই আমার বেটা ভোট দিবে না? আমার মুখে হাসি। উৎপল ভাইয়া (কাজিন ডাক্তার) এসে সুচ ...

বিদায় গনতন্ত্র

বাংলাদেশে নামে মাত্র যে গনতন্ত্র ছিল সেটাও শেষ। গলাটিপে শেষকরার সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত সামনের ৬ তারিখে বলাযায় মোটামুটি ইন্নালিল্লাহ। বর্তমান সরকার এই কাজ টা করার সুযোগ এক দিনে পায়নাই। গত ৫ বছর ধরেই তারা সেই সাহসটা অর্যন করেছে। গনতন্ত্রের সবচেয়ে ইম্পপর্টেন্ট হল একটা শক্তিশালী বিরধীদল বা তাদের শক্তিশালী ভুমিকা। যা বিএনপি গত ৫ বছরে দেখাতে সপ্মূর্ণভাবে ব্যার্থ হয়েছ। সরকারের সিমাহীন দুর্নীতি সেচ্ছাচারিতা বা দেশবিরধী কোন সিদ্ধান্তের বিশয়ে তারা কোন আন্দলন করেনি। দুই একটা বিবৃতি দিয়েই শেষ। তারা এমন সব বিষয়ে আন্দলন করেছে যেখানে জনগনের কোন দাবি ছিল না। ফলে বরাবরি তাদের আন্দলন তাদের নেতাকর্মিদের মাঝেই সিমাবদ্ধ থেকেছে। জনমানুষের আন্দলনে পরিনত হয়নি। সাধারন জনগন যতবার রাস্তায় নেমেছে তারা দুরে বসে হাততালিটাই দিয়েছে কাছে এসে কাধমেলায় নি। তাই দিন দিনই সরকারি দলের সাহস বেড়েছে ক্ষমতা কমেছে বিরধীদলের। অথছ বিএনপি তো এমন কোন ছোট দল ছিল না। আসন সংখ্যা কম হলেও ভোটের সংখ্যা তো প্রায় ৫০% এর কাছাকাছিই ছিল গত নির্বাচনে। তারমানে তাদের সমর্থক তো কম না। অথছ তারা জামাতের পায়ে ভর করে আন্দলনের স্বপ্ন দেখে ফেলল। যেই জামাতে...

প্রোগ্রামারের স্বপ্ন (গল্প)

Image
[প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে তাঁকে উত্সর্গ করে করে একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। গল্প টা মাথায় ছিল কিন্তু লিখতে লিখতে দেরি হয়ে গেল কি আর করা। গল্প টা অবস্যই তার লেখা থেকেই অনুপ্রাণিত...ক্ষুদ্র প্রয়াস।] আমাকে একটা ইন্টার্ন ছেলে দেওয়া হয়েছে। ছেলেটার নাম সফিক। বেশ সার্প একটা ছেলে। প্রোগ্রামিং এর মাথা ভাল। সহযেই একটা প্রবলেম ধরতে পারে। বেশ অবিডিয়েন্টও। কোন কাজ দিলে খুব উৎসাহের সাথে করে দেয়। কন্টেস্ট করত স্টুডেন্ট থাকাকালে। কন্টেস্টএর ছেলে মেয়েগুলো কে এই জন্যই আমার ভালো লাগে। কোডিং এদের কাছে নেশার মত। কাজ মনেই করে না। তাই এরা ভাল ও করে অন্যদের তুলনায়। তবে একটা প্রবলেম আছে তা হল প্রোগরামিং যে শেষ পর্যন্ত একটা প্রোডাক্ট আর প্রোডাক্ট মানেই বিজনেস এইটা বুঝতে এদের অনেক দিন লেগে যায়। যাই হোক, একটা নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছি একটু জটিল বিষয় টা কয়েকটা প্লাটফর্মে এক সাথে। বেশ চ্যালেন্জিং। টিমের সবাই অনেক এক্সাইটেড। সফিক সবচেয়ে বেশি। এটাই ওর প্রথম কোন সত্যিকারের কাজ, হওয়াটাই সাভাবিক। মনে আছে আমিও প্রথম কাজটা নিয়ে কতটা এক্সাইটেড ছিলাম। সেদিন বিকালে একটা প্রবলেম নিয়ে বসে আছি, ভাল যন্ত্রনা দিচ্ছে। ভেব...

কোডিং কাব্য (রম্য )

যদি কেড়ে নিতে বল কোডিংএ ঠাসা পিসি যেন কেড়ে নিতে দিব না যদি ছেড়ে যেতে বল লজিকে ঠাসা জীবন যেন আমি ছাড়তে পারব না আর আমি আমি , জানি জানি এতে সুখ কতখানি সৃষ্টি করে যাই রোজ.....  😊😊😊

অনুগল্প : রানাপ্লাজা

Image
আজ কয়দিন হইছে?  হিসাব নাই।  সারাক্ষন ঘুটঘুইটা আন্ধার কেমনে হিসাব করি?  ৩দিন?  ৪দিন?  মানুষ নাকি ৩দিনের বেশি বাচে না খেয়ে। আমি?  হয়ত মরেই গেছি। অথবা মরিনি।  আমার, আমাদের আবার বাচা মরা। গরিব মানুষ বুঝেনি তো। ও কিছু না।  শুধু এইভাবে থাকাতে খুব খারাপ লাগছে। হাজার হলেও মানুষ তো। এই ধরেন মাথার সাথে ছাদ টা লাইগা আছে পুরা নট নড়নচড়ন অবস্থা বুঝলেন? তার উপর আবার সামনে মর্জিনা আর আমার নিচে বিলকিস। আশে পাশে আছে আরো ২ ৩ জন মত, বাইচা নাই একজন ও। এত আন্ধার দেখাও যায় না কিছু।  বিলকিস মরছে আরো অনেক আগে তাও দুইদিন তো হইবই মিনিমাম। মর্জিনারো কোন সাড়া শব্দ নাই। বুঝলেন আমিই যে বাইচে আছি না মইরেগিছি টের পাইনা। প্রথম প্রথম কানতেছিলাম খুব কানতেছিলাম। বিলকিস আর মর্জিনা পানি পানি করতেছিল। আমারো গলা শুকায় কাঠ। কি করুম একটু পর শক্ত হইলাম। দুইডারে বুঝদিতে লাগলাম আসব, কেউ না কেউ আসব। ধৈর্য ধর আসব। কিন্তু কেউ তো আইলো না।  তাও আসা কইরে থাকি। এ ছাড়া আর কি বা করতে পারি কন? একসময় না আর কিছু চিন্তা করতে পারতেছিলাম না। কেম যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। এই মনেহয় ঘুমে এই মনেহয় ...

স্বপ্ন চক্র (গল্প)

Image
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় তার। বুকের ভেতর প্রচন্ড গতিতে লাফাচ্ছে হৃদপিন্ডটা। চাপ ধরে আছে চাপা আতঙ্ক। সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে। সে বুঝতে পারে যে, এইমাত্র সে একটা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখেছে। কিন্তু কি দেখেছে, মনে করতে পারে না।  কি এমন ছিল তার স্বপ্নে, যা দেখে সে এমন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে গেল? কি এমন ভয়ঙ্কর জিনিষ, যা দেখে তার হাত পায়ে কাঁপন উঠে গেছে ? নাহ্‌ ! কি হল ? মনে মনে ভাবে সে। কিছুতেই মনে করতে পারে না সে ওই স্বপ্নের কথা। বালিশের পাশ থেকে হাতরে চশমাটা তুলে চোখে দেয় সে। এরপর তাকায় দেয়াল ঘড়িটার দিকে। সেখানে তখন বাজে সাতটার কিছু বেশি। ব্যস্ত হয়ে উঠে বসে। হায় হায় সাতটা বাজে ? সাড়ে আটটায় না তার ক্লাস ?! উঠে পড়ে বিছানা থেকে। বাথরুমে যায়, ব্রাস করে, এর পর নাস্তা... ঢুকে যায় প্রাত্যহিক ব্যস্ততার মধ্যে। কিন্তু পিছু ছাড়ে না তাকে সেই স্বপ্ন। কি এমন দেখে ছিল সে ঐ শেষ রাতের স্বপ্নে ? নাহ্‌ কিছুতেই মাথাই আসে না তার। যেন একটু একটু এসেই আবার হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকটা পেটে আসছে মুখে আসছে না এর মত। ক্লাসে গিয়েও মন বসাতে পারেনা পড়াতে। স্যার কি পড়াচ্ছেন কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। শুধু মাথার ভেতর একই ...

বাসন্তী ভালোবাসা

বসন্ত আসে বসন্ত যায় ...  সাদাকালো মনে আমার রং কেন লাগেনা? সব নাকি রঙিন লাগে কি জানি কি ভালবেসে... আমর হৃদয় ধুসরই রয়... সখি ভালবাসা কারে কয়???