Posts

জড়তা

Image
অর্থহীন অবসর অনন্ত কাল অপেক্ষা গতিহীন নিশ্চল সময় জড় বস্তুর মত বেচে থাকা বসে থাকা অনেকের মাঝে একা হারিয়ে ফেলা জীবনের এক তৃতিয়াংশ জ্যামে বসে এস এম এস কাব্য ...  December 2, 2010

মৃত্যু দেখে আর কাঁদিনা

মৃত্যু দেখে আর কাঁদিনা হইনা বিচলিত হোক না যত বিভৎস সে লাশ ধোয়া ওঠা ঝলসানো অথবা চিরে চ্যাপ্টা থ্যাতলানো কিংবা টুকরো করে ছড়ানো মুখ ফিরিয়ে হেটে যেতে পারি পাশ দিয়ে ইন্দ্রিয় আছে তবে নেই তাতে অনুভুতি আমরা চলতে হয় তাই চলি বলতে হয় তাই বলি চোখে কোন দৃষ্টি নেই মনে কোন বাসনা নেই ভালোবাসা নেই আবেগ নেই বুকের মধ্যে কষ্ট নেই আমরা শুধুই বেচেরই এখনো মরিনি বলে সত্যিই কি মরনি? নাকি একদল জিবাম্মৃত এই ভুতুড়ে বিষাক্ত শহরে?

নিজের রঙে

আমি হাঁটতে শিখিনি...হোছট খাব বলে আমি বলতে শিখিনি...ভুল বলব বলে আমি দেখতে শিখিনি...আলো তিব্র বলে আমি শুনতে শিখিনি...শব্দ কর্কষ বলে আমি অলস স্থির স্থবির ধূসর হয়ে ক্ষয়ে যাওয়া হারিয়ে ফেলা নিজেকে নিজের রঙে

বৈশাখি দিনে

সকালটা শুরু হয় সোনা রোদে ফুরফুরে বাতাশ বয় গাছের পাতায় শিরশিরানি তুলে উড়ে যায় গাংচিল চেনা কোন নদীর পানে। রোদ্দুর উত্তপ্ত হয় আরো এবং আরো মাটি থেকে বাষ্প মিশে যায় বাতাশে, নেই বাতাশ নেই, বা থাকলেও নেই বোঝার ঊপায়। গাছের ডালে ছায়ায় বসে ঝিমুচ্ছে দুটি কাক ঠা ঠা রোদ উত্তপ্ত ভাবসা গরম চারিধার হাকার করে একটু বাতাশের জন্য কিন্তু প্রকৃতি নিশ্চুপ, গুমট, গম্ভির, নিস্তব্ধ মেঘমুক্ত নীল আকাশ। কোথা থেকে কি জানি, ঠান্ডা একটু বাতাশ সময় তখন বিকেল পশ্চিম আকাশ সেখানে কালো অচিরেই ছেয়ে ফেলে পুরোটা অন্ধকার চারিধার, তবুও দেখা যায় কারন তখনো যে রাত হয় নি। বাতাশ বাতাশ ঠান্ডা বাতাশ আহ ঝড় !! জোরে আরো জোরে বয় বয়ে চলে মাঠ-ঘাট, গাছ, পাতা, বাড়ি, উঠান, চাল পেরিয়ে আমগাছ কাঁচা আম ঝুপ ঝুপ আম পড়ে হুটপুটি আনন্দ হাততালি শুরুহয় বৃষ্টি, ঠান্ডা বৃষ্টি, না তো বৃষ্টি তো না, সাদা সাদা শুধুই সাদা চারিধার শিল! আবার আনন্দ হাততালি হুটপুটি কবিগুরু গেয়ে ওঠেন কাল বৈশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর।

স্মৃতি আর আমরা সব

এই থাকা এই পথ চলা চলতে চলতে মিশে যাওয়া সবার সঙ্গে সবাই হারিয়ে গিয়ে একাকার হৃদয়ের ঊষ্ণতায়। অকারনেই হাসা, রাগ, অভিমান, অকারন আনন্দে মাতা, হুল্লোড়, খুনসুটি, গেয়ে ওঠা চেনা কোন সুর গলা মিলিয়ে একসাথে ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া বারবার আমরা সব। তবে জানি না কেউ দেখছে কিনা দিন গুলো চলে যাচ্ছে দ্রুততায় অবিরাম কেউ খেয়াল করছে কিনা জানি না মূহুর্ত গুলো জমছে শুধুই স্মৃতির পাতায় বয়ে বেড়াতে হবে জানি এই অসহ্য স্মৃতি গুলো আমৃত্যু কেমন হবে সেই দিনটি? হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই খেয়াল হবে পাশে কেউ নেই ফেলে এসেছি বহু দূরে অথবা অন্য কোন পথে সবাইকে একাকিত্বে সমস্ত স্থির আকাশ, বাতাশ, গাছ, পাতা, বাড়ি, ধুলো, এমনকি নিজের ছায়াও তাকিয়ে করুনায় স্মৃতি নিয়ে একা দাঁড়িয়ে আমি আর আমার নিঃশব্দ আত্মচিৎকার।

মৃত্যুর চিৎকার

আমার অস্তিত্ব পৃথিবীর নির্জনতায় আমার অন্তিম সুর বাজে কান্নায় বোমার আঘাতে শতছিন্ন এ বুক রক্তের লালিমায় রাঙ্গানো আমার যত সুখ মিথ্যার কালোয় ঢাকা সত্যের সব আলো অসহায় চেয়ে রয় আশাহীন চোখ গুলো ধ্বংশ ধুসর প্রান্তর আমার চিন্তায় আমি বেচে আছি আমি জেগে আছি মৃত্যুর আশায়। নেই শান্তির সাদা ছায়া আকাশে আমার কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন চারিধার বারুদের গন্ধ বয়ে আনে উত্তপ্ত বাতাশ প্রতিহিংশার রঙে রঙহীন বিবর্ন আমার আকাশ চিৎকার, হাহাকার, ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়া আমি শুনি বিদ্ধস্ত ক্ষত দেয়ালের শেষ দীর্ঘশ্বাস মৃত্যুর ছায়া দেখি সময়ের আয়নায় আমি বেচে আছি আমি জেগে আছি মৃত্যুর আশায়। মৃত্যু আজ মৃত্যু চারিধার কান পেতে শুনি মৃত্যুর চিৎকার..........

সভ্যতার বন্দি...

বর্ষার চাদর মুড়ে প্রকৃতি আজ সেজেছে নতুন রুপে যেদিকে তাকাই ধুসর ঝাপসা সবুজ যেন জলরঙে আঁকা কোন ছবিতে ঢেলে দিয়েছে কেউ পানি সব সেডের সবুজ গুলো লেপ্টে একাকার শুধু একটি সবুজে... আকাশ কিন্তু কালো নয় কেমন একটা ঘোলা ভাব বাতাশ কি আছে ? বোঝা যায় না... শুধুই বৃষ্টি। মাঠের পানিতে অকারন খেলায় মত্ত পাঁচটি বালক তাদের কারো কোমরে হয়ত একটি কালো সুতো, কারো বা তাও নেই... কিন্তু তাতে ওরা মোটেও বিচলিত নয় কারন ওরা যে বাহুল্য বর্জিত প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির সাথে মিলে মিশে একাকার। আমারও ইচ্ছে হয় মিশে যেতে হারিয়ে যেতে প্রকৃতির ঐ একরঙা সবুজে কিন্তু হায়... আমি যে পারিনা আমি যে বহু বাহুল্যের বেড়াজালে আটকে পড়া অসহায় সভ্যতার শেকল আমার পায়... তাই আমি চেয়েরোই, জানালার এ ধার থেকে, গ্রিলের ফাক গলে, যতটুকু দেখা যায়... আমি কি বন্দি?