বৈশাখি দিনে

সকালটা শুরু হয় সোনা রোদে
ফুরফুরে বাতাশ বয়
গাছের পাতায় শিরশিরানি তুলে
উড়ে যায় গাংচিল
চেনা কোন নদীর পানে।

রোদ্দুর উত্তপ্ত হয় আরো এবং আরো
মাটি থেকে বাষ্প মিশে যায়
বাতাশে,
নেই বাতাশ নেই, বা থাকলেও নেই
বোঝার ঊপায়।
গাছের ডালে ছায়ায় বসে ঝিমুচ্ছে
দুটি কাক
ঠা ঠা রোদ
উত্তপ্ত ভাবসা গরম চারিধার
হাকার করে একটু বাতাশের জন্য
কিন্তু প্রকৃতি নিশ্চুপ, গুমট, গম্ভির, নিস্তব্ধ
মেঘমুক্ত নীল আকাশ।

কোথা থেকে কি জানি, ঠান্ডা একটু বাতাশ
সময় তখন বিকেল
পশ্চিম আকাশ সেখানে কালো
অচিরেই ছেয়ে ফেলে পুরোটা
অন্ধকার চারিধার, তবুও দেখা যায়
কারন তখনো যে রাত হয় নি।

বাতাশ বাতাশ ঠান্ডা বাতাশ
আহ ঝড় !!
জোরে আরো জোরে বয় বয়ে চলে
মাঠ-ঘাট, গাছ, পাতা, বাড়ি,
উঠান, চাল পেরিয়ে
আমগাছ
কাঁচা আম
ঝুপ ঝুপ আম পড়ে
হুটপুটি আনন্দ হাততালি
শুরুহয় বৃষ্টি, ঠান্ডা বৃষ্টি, না তো
বৃষ্টি তো না, সাদা সাদা শুধুই
সাদা চারিধার
শিল!
আবার আনন্দ হাততালি হুটপুটি

কবিগুরু গেয়ে ওঠেন
কাল বৈশেখির ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর।

Comments

Popular posts from this blog

সুর গহীনে

স্বপ্নবতা

ফেসবুক পরিচিতি