Posts

সুর গহীনে

Image
আমার একলা মনের গহীন কোনে বাসা বাঁধে কোন সে সুর আমার স্বপ্নচূড়ার অগোচরে চাঁদের শহর অনেক দূর দূর... বহু দূর... দূরে দূরে ভবঘুর। আমার একলা মনের গহীন কোনে বাসা বাঁধে কোন সে সুর... মুঠো ফোনে পর্দা জুড়ে বয়ে যাওয়া কোন সে সুখী মন গহীনের বাদল ছায়ে পাষাণ হৃদয় কোন বিরাগী দূর... বহু দূর... লুকোচরি মেঘ রোদ্দুর। আমার একলা মনের গহীন কোনে বাসা বাঁধে কোন সে সুর... অন্তর্জালের অতল তলে নাই বা পেলাম তোমার দেখা ভালোবাসার অস্ফুট স্বর সুর সাগরে ভাসবো মোরা... দূর... বহু দূর... সুরে সুরে সুমধুর... আমার একলা মনের গহীন কোনে বাসা বাঁধে কোন সে সুর...

২০২১ ...

অবশেষে বছর টা শেষ হলো শুরু হলো নতুন বছর। ২০২১ আমার জন্য খুব খারাপ একটা বছর হয়ে থাকবে। বছরের শুরুতে আব্বুর ব্লাড ক্যান্সার (AML) ধরা পরে. তারপর থেকেই সব কিছু যেন এলোমেলো হয়ে গেলো। আব্বুকে নিয়ে হাসপাতাল ডাক্তার ইন্ডিয়া বাংলাদেশ করতে করতেই কিভাবে বছর টা পার হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। ক্যান্সার এর সাথে যুদ্ধ খুব কঠিন একটা যুদ্ধ। যারা এর মধ্যে দিয়ে গেছে তারাই শুধু জানে। মাত্র আট মাসের মাথায় নভেম্বর এর ১০ তারিখ, আব্বু চলে গেলো আমাদের ছেড়ে। যে যুদ্বে হেরে যেতে হবে জানতাম কিন্তু তা যে এতো কম সময়ে সেটা জানা ছিল না। বেঁচে থাকার জন্য আমার আব্বুর এই সংগ্রামের এই আট মাস আমরা সকলেই যে অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম তা আমাকে অনেক কিছুই শেখালো। সব কিছু গুছিয়ে লেখাটাও যে বেশ কঠিন কাজ তা লিখতে গিয়ে বুঝেছি। আরো কয়েকবারই লেখার চেষ্টা করেছি কিন্তু বিক্ষিপ্ত ভাবনা গুলোকে আকার দেওয়াটা খুব একটা সহজ কাজ না। তারপরেও লেখার চেষ্টা করছি হয়তো অভিজ্ঞতা গুলো অনেকের কাজেও আসতে পারে।  বছরের শুরুটা আব্বুর হালকা অসুস্থতা দিয়ে। আমার আব্বু শারীরিক ভাবে খুব ফিট একজন মানুষ ছিল।  ছোটো খাটো অসুস্থতা সে কোনোদিন কেয়ারই করতো

আচমকা

Image
এক দমকা বাতাস উঠলো আকাশ মেঘে মেঘে মেঘে ছেয়ে গেলো মনে মনে মনে ছুঁয়ে গেলো আচমকা...আচমকা ।। তোমার ধুলো ধূসর জানালায়  স্মৃতি গুলো সব  ধুয়ে ধুয়ে ধুয়ে জল  হয়ে হয়ে এঁকে যায় কত শব্দ  আচমকা...আচমকা ।। অজানা কাব্যেরা সব শব্দ ভুলে মান অভিমানে জমে জমে  ক্ষোভ হয়ে হয়ে ঝরে ঝরে  ভেজা চিল হয়ে উড়ে যায়  আচমকা...আচমকা ।। রোদেলা দিনগুলো  সব হয়ে থাক  আঁধারের করাবন্দি মরীচিকা নদী বয়ে যাক আচমকা...আচমকা ।। হাসি আর কলরব সব  জলরঙ হয়ে ছড়িয়ে  গড়িয়ে জড়িয়ে লেপ্টে  ব্লটিং কাগজে শুষে নিক আচমকা...আচমকা ।।

ফুট ওভারব্রিজ

Image
আমি বরং ফুট ওভারব্রিজই হবো আমার বুকে হেটে যাবে হাজারো পথিক অথবা কেউ শুধুই দাঁড়াবে একটু জিরোতে গরম বিকেলে বাতাস খেতে বসবে আমার রেলিংয়ে হয়তো চড়ুই এসে বাসা বাধবে ছাদের এক কোনে ওর মতোই কোনো গৃহহীন মানুষ মাদুর পেতে শুবে রোজ রাতে...পাবে মাথা গোজার একটু ঠাঁই ফেরিওয়ালা পসরা সাজিয়ে বসে যাবে সকাল হলেই, বিক্রি জমবে খুব... ঝালমুড়ি, বাদাম কিংবা আমড়া কিনে দিবে কোনো বেকার প্রেমিক তার প্রেমিকার হাতে আর নীচে দিয়ে তখনো প্রতিযোগে ছুটেবে অনাবিল সুপ্রভাত আর জাবালে নূরেরা জেব্রাক্রসিং পিষে নতুন কোনো ফুট ওভারব্রিজ বানানোর আশায়...

নার্সিজমের আয়না

Image
শেকল পরিয়ে দুহাতে দুপায়ে বসে আছো নীরব নিথর হৃদয়ে নার্সিজমের আয়নায় বন্দি তুমি জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকা অদৃশ্য জগতে দৃষ্টির সীমানায় চকককে পর্দা মুখ বাঁধা কোনো অস্পৃষ্ট মুখোশে তুমি ক্লান্ত, অবসন্ত, ভাবনার জটে আটকে ভুলে গেছ পৃথিবী কোলাহল যত রং পর্দায় আঁকা অনুভূতি, ছুঁয়ে না দেখা, প্রতিকি রঙে হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা, মায়াজালে হারানো জীবনের জয়গান, মরীচিকা পিছে ছুটে যাওয়া কোনো বাধ্য মিছিলে বিপন্ন বিষন্ন স্বপ্নহারা ভেঙে ফেল এই অপার্থিব জগৎ ছিড়ে ফেল সব বিভ্রান্তি শেকল চেয়ে দেখো আগামী দাঁড়িয়ে স্মৃতির অপেক্ষায় মুহূর্ত মুখর হোক প্রিয়মুখের হাসিতে, আনন্দে অশ্রুতে স্পর্শের উষ্ণতায়....

ঝগড়া

Image
একটা দিন চল‌্ ঝগড়া করি ভালোবাসা তো রোজই করি আজকে নাহয় ঝগড়া করি? গাল ফুলিয়ে নাক উচিয়ে চোখ রাঙিয়ে মুখ বাকিয়ে চল্ আজকে ঝগড়া করি। তুই তোকারি একটু গালি নতুন পূরণ দোষ টা খুঁজে চোখ টা বুজে, ঘাড় টা গুজে কান ফাটিয়ে ঝগড়া করি। কবে কোথায় কি করেছিস কই গিয়েছিস, কি দিয়েছিস, ভালোবাসায় কি কমতি ছিল কোন কাজ টা বাড়তি ছিল চল্ হিসেব কষে ঝগড়া করি।‌ ভালোবাসা তো রোজই করি আয় না আজকে ঝগড়া করি। [ভালবাসা দিবস থাকলেও ঝগড়া দিবস নাই এইধরনের চিন্তা হইতে নির্গত কাব্য প্রচেষ্টা] February 14, 2016

যখন আমি অ্যডিক্টেড ছিলাম!

Image
নেশাটা ঠিক কিভাবে কবে থেকে শুরু মনে নেই। কিন্তু আমরা যারা নব্বইএর দশকে বড় হয়েছি গল্পের বই ছিল আমাদের বিনোদন এর অন্যতম মাধ্যম। বিশেষ করে মফস্বল শহরে যারা বড় হয়েছি তাদের জন্য তো বটেই। তখন টিভি বলতে বিটিভি, আর কম্পিউটার মোবাইল ইন্টারনেট তো ভবিষৎ এর জিনিষ। যতদুর মনে পড়ে একেবারে ছোট বেলায় রুশদেশের উপকথা নামে আমার একটা বই ছিল। যত দিন পড়া শিখি নাই আম্মুর কাছে শুনে শুনেই গল্প গুলো সব মুখস্ত ছিল। বেশ অনেক গুলো গল্প ছিল তাতে রাশিয়ান লেখকদের। এখন আর রাশিয়ার বই এদিকে মনেহয় না আসে। যাই হোক পড়া শেখার পর আরো কত বার যে বইটা পড়েছি হিসাব নেই। এত প্রিয় ছিল বইটা। রাশিয়ান পাবলিকশেন বলেই কিনা বইটা এত ভাল ছিল বাইন্ডিংস আার পেজ গুলো কত বছরেও একটুও নষ্ট হয়নি। এর পর আমর এক স্কুল টিচার বইটি নিয়ে যতসম্ভব সেও হরায় ফেলে। সেটা ক্লাস ওয়ান টু এর ঘটনা হবে। অনেক দু:খ পাইছিলাম বইটা হারায়। পরে অনেক খুজেছি কোথাও পাওয়া যায় না কিনতে। ক্লাস ওয়ান কি টু তে থাকতে একবার স্কুল থেকে কোন বার্ষিক প্রতিযোগিতা কিংবা রেজাল্টের জন্য বেশ কিছু বই পুরষ্কার পাই। সেই থেকে যত সম্ভব শুরু। যাইহোক এর পর কোন ছোটদের পড়ার মত বই পেলেই সেটা পড়ে ফেলাটা