Posts

Showing posts from 2009

বৈশাখি দিনে

সকালটা শুরু হয় সোনা রোদে ফুরফুরে বাতাশ বয় গাছের পাতায় শিরশিরানি তুলে উড়ে যায় গাংচিল চেনা কোন নদীর পানে। রোদ্দুর উত্তপ্ত হয় আরো এবং আরো মাটি থেকে বাষ্প মিশে যায় বাতাশে, নেই বাতাশ নেই, বা থাকলেও নেই বোঝার ঊপায়। গাছের ডালে ছায়ায় বসে ঝিমুচ্ছে দুটি কাক ঠা ঠা রোদ উত্তপ্ত ভাবসা গরম চারিধার হাকার করে একটু বাতাশের জন্য কিন্তু প্রকৃতি নিশ্চুপ, গুমট, গম্ভির, নিস্তব্ধ মেঘমুক্ত নীল আকাশ। কোথা থেকে কি জানি, ঠান্ডা একটু বাতাশ সময় তখন বিকেল পশ্চিম আকাশ সেখানে কালো অচিরেই ছেয়ে ফেলে পুরোটা অন্ধকার চারিধার, তবুও দেখা যায় কারন তখনো যে রাত হয় নি। বাতাশ বাতাশ ঠান্ডা বাতাশ আহ ঝড় !! জোরে আরো জোরে বয় বয়ে চলে মাঠ-ঘাট, গাছ, পাতা, বাড়ি, উঠান, চাল পেরিয়ে আমগাছ কাঁচা আম ঝুপ ঝুপ আম পড়ে হুটপুটি আনন্দ হাততালি শুরুহয় বৃষ্টি, ঠান্ডা বৃষ্টি, না তো বৃষ্টি তো না, সাদা সাদা শুধুই সাদা চারিধার শিল! আবার আনন্দ হাততালি হুটপুটি কবিগুরু গেয়ে ওঠেন কাল বৈশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর।

স্মৃতি আর আমরা সব

এই থাকা এই পথ চলা চলতে চলতে মিশে যাওয়া সবার সঙ্গে সবাই হারিয়ে গিয়ে একাকার হৃদয়ের ঊষ্ণতায়। অকারনেই হাসা, রাগ, অভিমান, অকারন আনন্দে মাতা, হুল্লোড়, খুনসুটি, গেয়ে ওঠা চেনা কোন সুর গলা মিলিয়ে একসাথে ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া বারবার আমরা সব। তবে জানি না কেউ দেখছে কিনা দিন গুলো চলে যাচ্ছে দ্রুততায় অবিরাম কেউ খেয়াল করছে কিনা জানি না মূহুর্ত গুলো জমছে শুধুই স্মৃতির পাতায় বয়ে বেড়াতে হবে জানি এই অসহ্য স্মৃতি গুলো আমৃত্যু কেমন হবে সেই দিনটি? হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই খেয়াল হবে পাশে কেউ নেই ফেলে এসেছি বহু দূরে অথবা অন্য কোন পথে সবাইকে একাকিত্বে সমস্ত স্থির আকাশ, বাতাশ, গাছ, পাতা, বাড়ি, ধুলো, এমনকি নিজের ছায়াও তাকিয়ে করুনায় স্মৃতি নিয়ে একা দাঁড়িয়ে আমি আর আমার নিঃশব্দ আত্মচিৎকার।